সিরিয়ায় আসাদের রাজত্ব গুড়িয়ে দেয়া কে এই আবু মোহাম্মদ আল জোলানী?  

মাত্র ১২ দিনে ৫৪ বছরের বংশগত স্বৈরাচারকে উৎখাত করে অকল্পনীয় বিজয় এনেছে সিরিয়ার বিদ্রোহী দল হায়াত তাহরীর আল শাম, সংক্ষেপে এইচটিএস। ৪২ বছর বয়সী আবু মোহাম্মদ আল জোলানির  নেতৃত্বে পাওয়া এ বিজয়ে স্বাধীনতার ঘ্রাণ পাচ্ছে সিরিয়ার জনতা। তবে বিশ্ববাসীর মনে প্রশ্ন কে এই জোলানী? আল কায়েদা ও আইএসের সাথে জোলানির কি সম্পর্ক? কিভাবে তিনি সিরিয়ার জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠলেন? 

জন্ম ও বেড়ে ওঠা

আবু মোহাম্মদ আল জোলানী ১৯৮২ সালে সৌদি আরবের রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন।  তার বাবা ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত সেখানে একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৯ সালেই জোলানী স্বপরিবারে সিরিয়াতে চলে আসেন। সেখানেই দামেস্ক শহরের প্রতিবেশী শহর মেজ্জাহতে জোলানী বড় হতে থাকে। ২০০১ সালের টুইন টাওয়ার হামলার ঘটনা প্রথম ১৯ বছর বয়সী জোলানীর মনোযোগ আকর্ষণ করেন। তিনি জিহাদী মতবাদের প্রতি কৌতুহলী হন। নাইন ইলেভেনের আক্রমণকারী গোষ্ঠীদের বিভিন্ন জায়গায় প্রসংশা পেতে দেখে তিনিও জিহাদের ব্যাপারে আরও জানতে ও যুক্ত হতে চান। দামেস্কে হওয়া বিভিন্ন জিহাদী সেমিনার, আলোচনায় তিনি অংশ নিতে থাকেন। ২০০৩ সালে আমেরিকা যখন ইরাকে আক্রমণ করে তিনি আর তখন বসে থাকতে পারেন না। তিনি সিরিয়া ছেড়ে ইরাকে চলে যান যুদ্ধে লড়তে। ইরাকে তিনি আবু মুসাব আল জারওয়াকির নেতৃত্বাধীন আল কায়দায় যোগ দেন। যুদ্ধ করেন আমেরিকা ও ইরাকের শিয়া গোষ্ঠীর সাথে। ২০০৫ সালে যুদ্ধে আমেরিকার বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে তিনি ৫ বছর ক্যাম্প বুকা জেলে কাটান। এই বিখ্যাত কারাগারটি ইরাকের উম্ম কাসরে অবস্থিত ছিল। 

আইএস ও আল কায়েদার সাথে সম্পর্ক

বুকা কারাগারে ইরাকের যুদ্ধের অনেক কয়েদি ছিল,  এমনকি প্রচুর সাধারণ মানুষকেও ধরে কারাগারে ভরে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা। এই কারাগারেই জোলানীর বিভিন্ন জিহাদী দলের সাথে মেলামেশা হয় এবং পরিচয় হয় আবু বকর আল বাগদাদীর সাথে যিনি পরবর্তীতে আইএসের প্রতিষ্ঠাতা হয়ে প্রত্যাবর্তন করেন। ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় তুমুল সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয় তখন ছাড়া পান জোলানী। 

২০১১ সালে বাগদাদী জোলানীকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে সিরিয়াতে পাঠায় নতুন দল আল- নুসরা ফ্রন্ট গঠনের জন্য। আল নুসরা ফ্রন্ট ছিল আইএসেরই সিরিয়ার একটি শাখা। ২০১২ সালের মধ্যে নুসরা ফ্রন্ট সিরিয়ার অন্যতম শক্তিশালী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হয়ে উঠলো। জোলানী তখনও নুসরা ফ্রন্টের সাথে আইএস এবং আল কায়েদার সম্পর্ক গোপন রেখেছিল। ২০১৩ সালে বাগদাদী ঘোষণা দেয় আইএসের সাথে আল কায়েদার আর সম্পর্ক নেই এবং সিরিয়ার দিকে আইএসের সহচারী সংগঠন হল আল নুসরা সংগঠন। আইএসের সাথে আল নুসরার সম্পৃক্ততা সবার সামনে নিয়ে আসা এবং আল কায়েদা থেকে বিভক্তি জোলানী একদমই পছন্দ করতে পারে নি। তিনি এ ঘোষণার প্রতিউত্তরে আইএসের সাথে সম্পৃক্ততা বাতিল ঘোষণা করে এবং আল কায়েদার সাথে সম্পৃক্ততার জানান দেয়৷ আল কায়েদার প্রধান আল জাওয়াহিরি পুরো বিশ্বে মুসলিম খিলাফত প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিল।  কিন্তু জোলানীর লক্ষ ছিল শুধুই সিরিয়া। ফ্রি সিরিয়া নামে বিদ্রোহীদের জোট গঠনের সময় জাওয়াহিরি আফগানিস্তান থেকে সিরিয়াতে সৈন্য আনতে চায় যা জোলানীর পছন্দ হয় নি। (১) মতের ভিন্নতা দেখা দেওয়ায় জোলানী আল কায়েদা থেকেও নিজের দলকে ক্রমেই দূরে সরিয়ে নিচ্ছিল। ২০১৬ সালে অফিশিয়ালি আল নুসরা ফ্রন্ট সংগঠন আল কায়েদা থেকে বিচ্ছেদ ঘোষণা করে এবং দলের নাম পরিবর্তন করে জাভাত ফাতেহ আল শাম রাখেন। ২০১৭ সালে আলেপ্পোতে সরকার বাহিনীর কাছে বিদ্রোহী বাহিনীর পরাজয় হলে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইদলিবে একত্রিত হয়৷ সেখানে জোলানী ছোট ছোট বিদ্রোহী দলগুলো একত্রে করে একটি নতুন দল গঠন করেন। সংগঠনটির নাম দেন হায়াত তাহরির আল শাম  বা সংক্ষেপে এইচটিএস। এই দলটির মূল লক্ষ্য শুধুমাত্র সিরিয়াকে ঘিরে ছিল। বাশার আল আসাদের মত স্বৈরাচারী শাসকের হাত থেকে স্বাধীনতা পুনরোদ্ধার, দেশ থেকে ইরানীয় সেনাদের বিতারিত করা এবং দেশে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠিত করা। ইদলিব প্রদেশ দখলে নিয়ে সেখানে স্থানীয় শাসন চালু করেন এইচটিএস। 

ইদলিব

উত্তর- পশ্চিম সিরিয়ার যে অঞ্চলটি জুড়ে সবচেয়ে বেশি অংশ বিদ্রোহীদের দখলে ছিল সে প্রদেশটির নাম ইদলিব। প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের জায়গা হয়ে উঠেছিল ইদলিব। সিরিয়ার অন্যান্য অংশের বাস্তুচ্যুত মানুষও এ প্রদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। হায়াত তাহরির আল শাম অঞ্চলটিতে ২০১৭ সালে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করে। এ ব্যবস্থার নামকরণ করা হয় ‘ সিরিয়ান স্যালভেশন গভার্ণমেন্ট’।  এই প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালু করার মাধ্যমে নিজেদের রাজনৈতিক ভিত্তি আরও মজবুত করে দলটি। প্রধানমন্ত্রী,  মন্ত্রী,  বিভিন্ন মন্ত্রণালয় তৈরী করদ পুরো একটি দেশ চালানোর মত করে অঞ্চলটি চালানো হত। খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ বিভিন্ন সেবা দেয়া হত ইদলিবের জনগণকে। তবে নিজের দলীয় মতালম্বী ছাড়া অন্য কোন মত সহ্য করা হত না। জোলানীর প্রশাসন ২২৮ টি ধারা বিশিষ্ট একটি সামাজিক আচরণ আইন পাশ করে। যেখানে প্রকাশ্যে মদ বিক্রি ও খাওয়া নিষিদ্ধ,  জুয়া খেলা, ধুমপান নিষিদ্ধ, স্কুলে মেয়েদের আলাদা করে নির্দিষ্ট পোশাক, জনসম্মুখে নারী পুরুষ একত্রে চলা নিষিদ্ধ ইত্যাদি আচরণবিধিযা জনসাধারণের পালন করতে হত কঠোরভাবে।তবে বাসস্থান নির্মাণ, স্থাপনা গড়ে তোলা, ত্রাণ পৌঁছে দেয়া ইত্যাদি কর্মকাণ্ড এইচটিএসকে জনগণের কাছে নির্ভরযোগ্য দলে পরিণত করেছে।  ইদলিব যেন ত্রমেই এইচটিএসের যোগ্যতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে উঠছিল।  আন্তর্জাতিকভাবে মানুষের নিকট হায়াত তাহরির আল শাম শুধুমাত্র একটি জিহাদি দলে সীমাবদ্ধ রইল না, মানুষ তাদের শাসন ব্যবস্থার পন্থা সম্পর্কে জানতে পারল। 

আল কায়েদার সাথে ভাঙন

২০১৬ সালে আল কায়েদার সাথে মত পার্থক্যের জন্য আলাদা হয়ে যাবার পর আল কায়েদার প্রধান জোলানীকে বিশ্বাস ঘাতকতার অভিযোগ দিয়ে নতুন একটি আল কায়েদার সিরিয়ার শাখা ‘ হুরাস আল দ্বীন’ প্রতিষ্ঠা করেন। জোলানী আল কায়েদা থেকে আলাদা দেওয়ার ঘোষণা দিলেও অনেকেই তার সত্যতা নিয়ে ধোয়াশায় ছিল। পরবর্তীতে নানান সময়ে আল কায়দার শাখা বাহিনী হুরাস আল দ্বীনের সাথে এইচটিএসের বহু দফায় সংঘর্ষ হয় যা প্রমাণ করে দেয় জোলানী শুধুমাত্র সম্পর্ক ভেঙ্গে চলেই আসে নি বরং আল কায়েদার সাথে তার শত্রুতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ২০২০ সালে জোলানীর দল এইচটিএস, হুরাস আল দ্বীনকে ভালোভাবে গুড়িয়ে দেয়। এখনও সিরিয়াতে সংগঠনটির সদস্যরা রয়েছে তবে কৌশলে। 

এক ইন্টারভিউতে জোলানী বলেন তার পূর্বপুরুষ সিরিয়ার গোলান মালভূমিতে বসবাস করত। ১৯৬৭ সালে আরব দেশগুলোর সাথে ইসরাইলের ৬ দিনের যুদ্ধে আরব দেশ গুলোকে হারিয়ে ইসরাইল সিরিয়ার গোলান মালভূমি কব্জা করে নেয়। তখন জোলানীর পরিবার গোলান মালভূমি থেকে দামেস্কে চলে আসে। এই গোলান মালভূমির সাথে মিল রেখেই তিনি তার নামে ‘জোলানী’ উপাধি রাখেন।  

কট্টরপন্থী থেকে উদারপন্থায় জোলানী

২০১৪ সালে প্রথম আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জোলানী নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কথা বলেন। যেখানে তিনি বলেন ইসলাম অনুশাসনে দেশ চালাবেন তিনি, তবে ইসলামের বাইরে অন্য ধর্ম্বালম্বীদের জায়গা হবে না তার দেশে। জোলানী যখন এই বক্তব্য দেন তখন জোলানীর দল আল নুসরা উগ্রবাদী দল আল কায়েদার সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল।  ২০১৬ সালে আল কায়েদার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার কয়েক বছরের মাঝে জোলানীর মাঝে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যায়। তিনি দেশের মুসলমান ও অন্য ধর্মালম্বী সকলের নিরাপত্তা দেওয়ার আশা দেন। এমনকি ক্ষমতায় আসলে সংখ্যা লঘুদের অধিকার নিশ্চিত করারও আশ্বাস দেন। ২০২১ সালে মার্কিন গণমাধ্যমে তিনি বলেন আইএসের কঠোর মনোভাব ও রীতি নীতির জন্যই দলটি ত্যাগ করেছিলেন। 

জোলানীর সিরিয়া বিজয়

সিরিয়ার পরম মিত্র রাশিয়া ও ইরান বর্তমানে নিজ নিজ দেশের অস্তিত্ব বাচাতে ব্যস্ত। রাশিয়া ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধের চরম পর্যায়ে আছে যেখানে তাদের প্রচুর সৈন্য ও অস্ত্র প্রয়োজন হচ্ছে। তাই সিরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার দিকে মনোনিবেশ করার সুযোগ কম ছিল তাদের। অপর মিত্র ইরানের জন্য ২০২৪ বছরটা খুবই দুর্যোগপূর্ণ ছিল। ইসরাইলের একের পর এক শক্তিশালী ধাক্কা ইরানের মনোবলকে ভেঙে দিচ্ছে। কদিন পর পরই হিজবুল্লাহ ও ইরানের সাথে ইসরাইলের পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। সিরিয়ার দুই মিত্র দেশের ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাম আচমকাই ইদলিব ছাড়িয়ে আগ বাড়াতে শুরু করে। ২৭ নভেম্বর সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো দখল নেয়া শুরু করে এইচটিএস। এতে এইচটিএসের সহচারী ছিল ছোট ছোট অন্যান্য সব গোষ্ঠীগুলো। ১ ডিসেম্বর আলেপ্পোতে থাকা কুর্দিদের দখলকৃত কিছু অংশ বাদে বাকি অংশগুলো দখল করে নেয় জোলানীর দল। এরপর ১ সপ্তাহে দখল করে ফেলে ৪ টি শহর। ৫ ডিসেম্বর হামা শহর দখল করে নেয় যা সিরিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর। ৭ ডিসেম্বর থেকে দামেস্ক শহর ঘেরাও করতে থাকে বিদ্রোহীরা। ৮ ডিসেম্বর দামেস্ক থেকে মাত্র ১ ঘন্টার দূরত্বে অবস্থিত হোমস শহর যখন বিদ্রোহীদের দখলে চলে আসে তখন আসাদ সরকার নিজের পতনের আচ পেয়ে যায়৷ নিজের ব্যক্তিগত বিমানে করে পালিয়ে যায় রাশিয়াতে। মাত্র ১১ দিনের মধ্যে অভিযানে জোলানীর নেতৃত্বে সিরিয়ার বিদ্রোহী দলগুলোর ঐক্যতায় পতন হয় আসাদ সরকারের স্বৈরাচারীতার। 

জোলানীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

সিরিয়াতে আসাদ সরকারের পতন হলে এখনও সংঘাত চলছে। আসাদ সরকারের পতনের সাথে সাথে ইসরাইল আক্রমণ শুরু করেছে সিরিয়ার উপর। ইসরাইল কেন সিরিয়া আক্রমণ করছে তা অন্য আরেক দিনের আলোচনা। তবে সিরিয়া নিয়ে জোলানীর পরিকল্পনা পরিষ্কার। সিরিয়াকে একটি স্বাধীন, স্বাভাবিক রাষ্ট্র করাই তার স্বপ্ন। সিরিয়া যেন অন্য দেশগুলোর যুদ্ধের ময়দান না হয় তাই সব অস্ত্র জমা দিয়ে সকল বিদ্রোহীদের এক করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জোলানী। ২০১৭ সাল থেকে উদারনীতির দিকে অগ্রসর হওয়া জোলানী আন্তর্জাতিক মাধ্যম গুলোকে সংখ্যালঘু ও অন্য ধর্মালম্বী মানুষদের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও বিমান ঘাটি সিরিয়াতে অবস্থিত। মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাবের জন্য রাশিয়ার একমাত্র শক্তিশালী মাধ্যম ছিল সিরিয়া। রাশিয়া পশ্চিম সিরিয়াতে গড়া ঘাটি থেকে লিবিয়া ও পুরো উত্তর আফ্রিকাতে নিজের প্রক্সিদের নিয়ন্ত্রণ করত। তাই রাশিয়া সিরিয়ার নতুন সরকারের সাথে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করতে পারে। জোলানীও রাশিয়ার প্রতি তুলনামূলক সহজ মনোভাব দেখিয়েছেন। তবে ইরানের প্রতি তাদের ঘৃণা প্রকাশ্য। ইরানকে আর কোনোক্রমেই সিরিয়ার নিজস্ব ব্যাপারে হস্তক্ষেপের সুযোগ না দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সিরিয়ার নতুন অন্তর্বতী সরকার। ইসরাইল ও আমেরিকার সাথেও শান্তি চুক্তিতে আসার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে জোলানীর সুরে। যদিও জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, তুরুষ্ক, ইউরোপসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ এই দলটির উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। আমেরিকা দলটির প্রধান আহমেদ হুসাইন আল শারা ওরফে আবু মোহাম্মদ আল জোলানীর মাথার দাম নির্ধারণ করেছিল ১ কোটি ডলার। তবে সিরিয়া বিজয়ের পর জোলানির সংখ্যা লঘুদের প্রতি নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি ও ঐক্যের সাথে বসবাসের আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রকে জোলানির ব্যাপারে অনেক খানি নমনীয় করেছে। সিরিয়ার নতুন নেতার সাথে তাই প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।  এখন সামনে প্রশ্ন কট্টর মনোভাব থেকে কি সত্যিই উদারপন্থায় সিরিয়াকে চালানো সম্ভব হবে জোলানীর পক্ষে? আবার কি স্বাভাবিক, সুস্থ একটি রাষ্ট্র হতে পারবে সিরিয়া? সময়ই বলে দেবে এর উত্তর।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top