আগে ডান পা নাকি বাম পা! লাফ দিব নাকি নেমে সামনে একটু দৌড়ে যাব? বাস থেকে নামার সময় প্রায়ই কিছু যাত্রীকে দেখা যায় কি করব ভাবতে ভাবতে নামতে ইতস্তত করতে। এরই মাঝে পেছন থেকে অন্য অধৈর্য যাত্রীদের চেচামেচি শুরু হয়ে যায়! ভাবটা এমন যেন এত নির্বোধ হলে বাসে চড়ারই বা দরকার কি! অথচ বাস থেকে নামতে গিয়ে প্রায়শই আমাদের দেশে ঘটে অনেক অঘটন। এই অঘটন ঘটনের আগেই এর হ্যাপা থেকে বাচতে আমাদের জানা প্রয়োজন একটু খানি বিজ্ঞান।
নিউটনের প্রথম সূত্র থেকে আমরা দেখতে পাই প্রত্যেক বস্তুই যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় থাকতে চায়, অর্থাৎ বস্তু স্থির থাকলে স্থির থাকতে চায় আর গতিশীল থাকলে গতিশীল থাকতে চায়। আমরা যখন বাসে চড়ি তখন চলমান বাসের সাথে আমাদের দেহও চলতে থাকে। তখন আমাদের দেহে তৈরি হয় গতি জড়তা। অর্থাৎ গতিশীল বস্তুর চিরকাল সমবেগে গতিশীল থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা একই গতি অক্ষুণ্ন রাখতে চাওয়ার যে ধর্ম তাকে গতি জড়তা বলা হয়। বাস থেকে নামার সময় যখন চলন্ত বাস থেকে পা মাটিতে পড়ে তখন পায়ের পাতা স্থির হয়ে যায় কিন্তু আমাদের সারা শরীরে থাকা গতি জড়তার জন্য আমাদের দেহ গতিশীল থাকতে চায় তাই আমদের দেহ সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এটি এড়ানোর জন্য সামনের দিকে একটু দৌড়ে নামলে টাল ঠিক রাখা সম্ভব।
এখন আসি বাম পা কেনো আগে দেয়া উচিত এই প্রশ্নে। বাংলাদেশের বাসের দরজা গুলো থাকে বাসের বাম দিকে। ফলে বাম পা আর বাসের গতি একই দিকে থাকে। অন্য দিকে ডান পা আগে দিলে বাসের গতি আর আমাদের দেহ ৯০° কোণে সমান্তরালে থাকে ফলে তাতে জড়তার কারণে শরীর ডান দিকে হেলে ডান পা গাড়ির চাকার নিচে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই বাস থেকে নামার সময় বাম পা দিয়ে নামাই বাঞ্চনীয়।